প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নড়াইলের কালিয়ায় নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কালিয়া পৌর এলাকার উথালী গ্রামের একটি বিলে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীকে গভীর রাতে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে নিশান, বাপ্পী, নাইম জাহাঙ্গীর ও সুজার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দুজনসহ সাতজনের নামে রাতে কালিয়া থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই নিশান (১৭) নামে মূল আসামি এবং অপর সহযোগী বাপ্পী (১৭)-বে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বাড়ি কালিয়া পৌর এলাকার উথালী গ্রামে।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ফুফু জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব সম্পর্কের জের ধরে নিশান ফোন করে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ফাঁকা জায়গায় গেলে ছয়জন তাকে ধরে বিলের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে সেখানেই ফেলে চলে যায়।
মেয়েটির বাবা জানান, সন্ধ্যায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পেয়ে রাত ৮টার দিকে উথলী বিলের মধ্যে থেকে উদ্ধার করি। পরে থানায় মামলা করি। আমি এই সব জানোয়ারদের বিচার চাই।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বাবু বলেন, তার সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ- পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামি নাইমসহ আরো দুজনকে আটক করলেও তাদের গ্রেপ্তার না করে ছেড়ে দেওয়ারর পাঁয়তারা করছে। কালিয়া থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, মেয়েটি সন্ধ্যায় ছাগল আনতে মাঠে গেলে সেখানে তার পূর্বপরিচিত নাইমসহ কয়েকজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে প্রক্রিয়া চলছে।
তথ্যসুত্র: কালেরকন্ঠ/০৫/০২/২০১৫